, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


‘হলে সিট পাওয়ার জন্য ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিলাম’

  • আপলোড সময় : ১৯-০৮-২০২৪ ১২:১৩:৪২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০৮-২০২৪ ১২:১৩:৪২ অপরাহ্ন
‘হলে সিট পাওয়ার জন্য ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিলাম’
এবার ছাত্রলীগের এক কর্মীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে সবার সম্মুখে নানা ‘অপকর্মের’ স্বীকারোক্তি নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। পরে সেনাবাহিনী তার কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে মদের বোতল পেয়ে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। গতকাল রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ হবিবুর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে আটক ওই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আল আমিন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং হবিবুর রহমান শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মমিনুল ইসলামের অনুসারী ছিলেন।

স্বীকারোক্তিতে আটক ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিন বলেন, আমি মূলত হলে সিট পাওয়ার জন্য ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিলাম। তাছাড়া শহিদ হবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগ সভাপতি মমিন আমার এলাকার হওয়ায় তার রুমে ৭ থেকে ৮ মাস থেকেছি। তবে আমি গত তিন মাস কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলাম না।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে হলে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিন। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জানতে পারলে হলের গেট লাগিয়ে দিয়ে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।

এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাকে মারধরও করেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এরপর তারা আল আমিনের রুমে তল্লাশি করে খালি মদের বোতল উদ্ধার করেন। একপর্যায়ে তাকে আটক করে নিয়ে যান সেনা সদস্যরা।

এদিকে আটকের সময় আল আমিন হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মমিনুল ইসলাম পদে থাকাকালে শিক্ষার্থীদের কাছে সিট বাণিজ্য, হলের ফ্যান-চেয়ার দখল, হলের ছাদে বসে ফেনসিডিল এবং গাঁজা সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ততার স্বীকারোক্তি দেন।

হলের একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, আল আমিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতেন তাদের ভিডিও ধারণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর কাছে পাঠাতেন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করতেন।
 
এদিকে আটকের বিষয়ে সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট আব্দুস সালাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ কর্মী অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে আটক করে রেখেছে। পরে আমরা তার রুম তল্লাশি করে মদের খালি বোতল পেয়েছি। ওই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আমরা তাকে মতিহার থানায় হস্তান্তর করবো।

এ বিষয়ে কথা হলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি থানায় ছিলাম না। একটু পরে থানায় ঢুকবো। শুনেছি সেনাবাহিনীর একজন থানায় এসেছিল।
সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন ‍ড. মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া

সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন ‍ড. মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া